শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে ওসিদের প্রতি সতর্কতা জারি

রাজশাহীতে ওসিদের প্রতি সতর্কতা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আসামি গ্রেফতারের পর নিয়মিত আদালতে সোপর্দ না করে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপনের বিষয়ে রাজশাহীর সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সতর্ক করেছেন আদালত।

গত সোমবার রাজশাহীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার এক আদেশে ওসিদের প্রতি এই সতর্কতা জারি করেছেন। আদেশে আদালত বলেছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, রাজশাহীর বিভিন্ন থানার ওসিরা আসামি গ্রেফরের পর নিয়মিত আদালতে সোপর্দ না করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনারদের (এসি ল্যান্ড) নিকট উপস্থাপন করছেন।

এরপর এসব ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ বিধান লঙ্ঘন করে আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিচ্ছেন, দেশের সংবিধান এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আদালতের এ আদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন-২০০৯ এর ৬ (১) ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে যে, কেবল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য অপরাধ তার সামনে ঘটেছে এমন হয়ে থাকলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে এ আইনের নির্ধারিত দন্ড আরোপ করতে পারবেন।

এদিকে, ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের সখিপুরের ইউএনও’র আইনবহির্ভূত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য উচ্চ আদালতের দেয়া একটি রুলের সিদ্ধান্তও তুলে ধরা হয়েছে রাজশাহীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে। উচ্চ আদালতের ওই রায়ের মাধ্যমে আইনবহির্ভূত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সখিপুরের ইউএনও এবং ওসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে রাজশাহীর ওসিদেরও সতর্ক করে আদালতের এই আদেশে বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালত-২০০৯ এবং উচ্চ আদালতের রায়ের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করার কোনো সংবাদ আদালতের গোচরীভূত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টকে অবহিত করা হবে।

আদেশের এই অনুলিপি রাজশাহীর সব থানার ওসি ছাড়াও আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, জেলা ও দায়রা জজ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি), রেলওয়ে পুলিশের এসপি, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসপি, রাজশাহীর সকল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপ-পরিচালককে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম ২৬   আগস্ট ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply